রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
আজ ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা। বিগত কয়েক বছর ধরে মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। তবে এ সময়ে প্রকৃত ইলিশ জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোসহ পার্শবর্তী দেশের জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের দাবী কুয়াকাটার জেলেদের।
মৌসুমের শুরু থেকে কলাপাড়ার উপক‚লীয় এলাকার জেলেদের জালে ছিল ইলিশের অকাল। শেষ সময়ে এসে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ। ঠিক এসময়েই শুরু হচ্ছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারের অবরোধ। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের অবরোধ চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ৬ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এর কার্যকারিতা। এসময়ে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনের দাবী জেলেদের।
আলীপুরের এফবি নুরজামাল ট্রলারের মাঝি সবুজ গাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক ইলিশ শিকারী জেলে সহায়তা পাচ্ছেন না। যারা ছোট ছোট জাল নিয়ে নদী বা খালে মাছ শিকার করে তারা পাচ্ছেন সহায়তা। আলীপুরের এফবি শুকতারা ট্রলারের মাঝি কবির জানান, আমদের দেশে যখন অবরোধ দেয়া হয়। ভারতীয় এবং মায়ানমারের জেলেরা তখন মাছ শিকার করে। আলোচনা করে যদি একই সময়ে অবরোধ দেয়া হয় তবে আমাদের জন্য ভাল হয়।
কুয়াকাটা-অলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি ও ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মাছের রাজা ইলিশ সংরক্ষন করা গেলে বাড়বে অন্যান্য মাছের উৎপাদন। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। ফলে বুঝতে পেরে কোন জেলেই এখন আর অবরোধকালীন সময়ে মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না। তবে এসময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
Leave a Reply